voltalin suppository 50mg bangla-ভোল্টালিন সাপোজিটরি ব্যবহার ও দাম

বাত,প্রদাহরোধী ও বেদনানাশক হিসাবে Voltalin suppository বেশ পরিচিত। এটির সঠিক ব্যবহার, সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং কেন Voltalin suppository ব্যথানাশক হিসাবে একটি উত্তম পছন্দ সে সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

কার্যকরী উপাদান ও ফার্মাসিউটিক্যালস ফরমঃ
Voltalin 50mg সাপোজিটরি : প্রতিটি সাপোজিটরিতে রয়েছে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম বিপি ৫০ মিলিগ্রাম।

Voltalin suppository 50mg এর কাজ


নিম্নলিখিত উপসর্গে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম বিপি নির্দেশিত-

  • বাত বা রিউম্যাটিজমের ক্ষত বা প্রদাহজনিত উপসর্গঃ যেমন-
  • রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিস
  • কৈশোরের রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিস
  • এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস
  • অস্টিওআর্থাইটিস ও স্পন্ডিলআর্দ্রাইটিস
  • মেরুদন্ড বা কশেরুকার বিভিন্ন ব্যাথার লক্ষনাদি
  • এবং অন্যান্য পেশী ও অস্থি সংশ্লিষ্ট ব্যাথা।
  • তীব্র বাত বা গাউট।
  • আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পরবর্তী ব্যাথা, প্রদাহ ও ফোলা; যেমন-দাত বা হাঁড়ে অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে।
  • স্ত্রীরোগজনিত ব্যাথা এবং/বা প্রদাহজনিত উপসর্গ; যেমন-প্রাইমারী ডিজমেনোরিয়া বা এডনেক্সাইটিস।
  • নাক, কান ও গলার তীব্র ব্যাথা ও প্রদাহজনিত সংক্রমনের চিকিৎসায় অনুসঙ্গ হিসাবে; যেমন; ফেরিংগোটনসিলাইটিস, ওটাইসিস।

তবে এই অসুখগুলির মূল কারণটির উপযুক্ত চিকিৎসা করা অত্যন্ত জরুরী।



Voltalin 50 mg suppository ব্যবহারের নিয়ম

রোগের তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে ডোজ নির্ধারণ করা হয়।
ব্যথা বেশি হলে একটি করে দিনে তিনবার পায়ুপথে ব্যবহার করা যায়।
তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।

voltalin suppository 50mg bangla-ভোল্টালিন সাপোজিটরি ব্যবহার ও দাম



বিস্তারিত....


ঔষধটির দৈনিক মাত্রা ব্যক্তি বিশেষে সমন্বয় করা উচিত বলে পরামর্শ প্রদান করা হয়। সর্বনিম্ন মাত্রার ঔষধ অল্প সময়ের জন্য ব্যবহারের মাধ্যমে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উপসর্গগুলি কমানো যেতে পারে।

সাধারন কাংঙ্খিত জনসংখ্যাঃ

প্রাথমিক নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে দৈনিক ১০০-১৫০ মি.গ্রা.( দিনে ২ টি অথবা তিনটি)। তবে, অসুখের মৃদু অবস্থা বা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য দৈনিক মাত্রা ৭৫-১০০ মি.গ্রা, যথেষ্ঠ।

দৈনিক সর্বমোট মাত্রাকে সাধারনত ২-৩ ভাগে বিভক্ত করে সেবন করতে হবে। রাতের ব্যাথা ও সকালের কষ্ট কমানোর জন্য দিনে সাপোজিটরী ব্যবহারটি রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করে সম্পূর্ণ করা যেতে পারে (দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫০ মি.গ্রা. মাত্রা ঠিক রেখে)। 

প্রাইমারী ডিজমোনিয়ার ক্ষেত্রে, ঔষধটির দৈনিক মাত্রা ব্যক্তি বিশেষে সমন্বয় করা উচিত এবং তা সাধারনত ৫০-১৫০ মি.গ্রা. এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। শুরুতে ৫০-১০০ মি.গ্রা, দিয়ে চিকিৎসা শুরু করে প্রয়োজনে পরবর্তী মাসিক ঋতুস্রাবের সময়গুলিতে দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ২০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। 

মাসিকের প্রাথমিক লক্ষনাদি দেখা দেয়ার সময় চিকিৎসা শুরু করতে হবে এবং লক্ষণের তীব্রতার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা কয়েকদিন ধরে চালাতে হবে। 

মাইগ্রেনের প্রাথমিক আক্রমনের উপসর্গ দেখা দিলে ভলটালিন ১০০ মি.গ্রা. দিয়ে চিকিৎসার শুরু করা উচিত। এরপরও প্রয়োজন হলে একই দিনে অতিরিক্ত ১০০ মি.গ্রা. সাপোজিটরী ব্যবহার করা যেতে পারে। পরবর্তী দিনগুলোতে রোগীর প্রয়োজন অনুসারে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫০ মি.গ্রা, মাত্রা ঠিক রেখে বিভক্ত মাত্রায় এটি ব্যবহার করতে হবে।


বিশেষ কাংঙ্খিত জনসংখ্যা শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে।

রোগের তীব্রতাভেদে ১বছর বা তার অধিক বয়সী শিশুদের এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে ০.৫-২ মি.গ্রা./কেজি শারীরিক ওজনের জন্য দৈনিক ২-৩টি পৃথক মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। 

জুভেনাইল রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিস এর চিকিৎসায় দৈনিক মাত্রা ৩ মি.গ্রা./কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়, তবে তা হতে হবে ২-৩টি পৃথক মাত্রায়। দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা. এর র বেশী হওয়া উচিত নয়। শিশু বা ১৪ বছরের নিচের কিশোরদের জন্য ভলটালিন ১২.৫ মি.গ্রা. বা ২৫ মি.গ্রা. সাপোজিটরীজ নির্দেশিত। 

ডোজেস শক্তির কারণে, ভলটালিন ৫০ মি.গ্রা, সাপোজিটরীজ শিশু বা ১৪ বছরের নিচের কিশোরদের জন্য নির্দেশিত নয়। শিশু বা কিশোরদের জন্য ভলটালিন ১০০মি.গ্রা, সাপোজিটরীজ নির্দেশিত নয়।

বয়স্ক (৬৫ বা তার চেয়ে বেশী বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে)ঃ

বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ডোজের সমন্বয় করা প্রয়োজন নেই।

আরো জানুন Renovit এর কাজ কি| রেনোভিট ট্যাবলেট

Voltalin 50 suppository এর দাম

একটি Voltalin 50mg suppository এর দাম ৬০ টাকা


হৃদরোগীদের বা হৃদরোগের উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির ক্ষেত্রে।

যাদের হৃদরোগ ও অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য ভলটালিন নির্দেশিত নয়। তবে যদি প্রয়োজন হয় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যাদের হৃদরোগ, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে তাদেরকে ভলটালিন দিয়ে চিকিৎসা করতে হয় এবং এর দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ১০০ মি.গ্রা. এর বেশি নয় যখন এটি দিয়ে চার সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা করতে হয়।

রেনাল ফেইলিউর রোগীদের ক্ষেত্রে:

রেনাল বৈকল্য রোগীদের জন্য ভলটালিন নির্দেশিত নয়। রেনাল বৈকল্য রোগীদের উপর ভলটালিনের কোন নির্দিষ্ট কোন গবেষনা করা হয়নি তাই এসব রোগীদের ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট মাত্রা সমন্বয় করা যায়নি। মৃদু থেকে মাঝারী রেনাল বৈকল্য রোগীদের ক্ষেত্রে ভলটালিন ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

লিভার ফেইলিউর রোগীদের ক্ষেত্রেঃ

লিভার ফেইলিউর রোগীদের জন্য ভলটালিন নির্দেশিত নয়। লিভার ফেইলিউর রোগীদের উপর ভলটালিনের কোন নির্দিষ্ট কোন গবেষনা করা হয়নি তাই এসব রোগীদের ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট মাত্রা সমন্বয় করা যায়নি। মৃদু থেকে মাঝারী লিভার ফেইলিউর রোগীদের ক্ষেত্রে ভলটালিন ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ব্যবহারবিধিঃ সাপোজিটরি পায়ূপথে ব্যবহার্য। প্রক্ষালনের পরই সাপোজিটরি ব্যবহার করতে হয়। যেহেতু এটি শুধুমাত্র পায়ূপথে ব্যবহার্য, তাই এটি মুখে সেবন করা উচিত নয়।


প্রতিনির্দেশনাঃ

সক্রিয় গ্যাস্ট্রিক বা অন্ত্রের আলসার, রক্তঝরা বা ক্ষত, গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস, লিভার ফেইলিউর, রেনাল ফেইলিউর, হার্ট এ্যাটাক, অন্যান্য নন স্টেরইভাল এন্টিইনফ্রামিটরী ড্রাগস এর মত, যে সমস্ত রোগীর এসিটাইলস্যারিসাইলিক এসিড বা এর কারনে হাঁপানি, আর্টিকারিয়া অথবা একিউট রাইনাইটিস এর তীব্রতা বাড়ে, সেসব ক্ষেত্রে ভলটালিন নির্দেশিত নয়।

সতর্কতা ও সাবধানতাঃ পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তের উপর প্রভাবঃ

ডাইক্লোফেনাকসহ অন্যান্য এনএসএআইডি সেবন করলে চিকিৎসার শুরুতে বা চিকিৎসাকালীন সময় পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তে রক্তপাতসহ ঘা বা ক্ষত দেখা দিতে পারে, যা মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। এসব সমস্যা সতর্কীকরণ লক্ষণগুলি ব্যতীত বা সহকারে প্রকাশ পেতে পারে অথবা এসব রোগীদের পূর্ববর্তী গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল সমস্যা থাকতে পারে। 

বয়স্ক রোগীদের সাধারনত গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। যদি ভুলটালিন সেবনকারীদের পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তে রক্তপাতসহ ঘাঁ বা ক্ষত হয়, তবে ঔষধটি সেবন বন্ধ করা উচিত। 

যেসব রোগীদের গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল (জিআই) সমস্যা অথবা পাকস্থলী বা ক্ষুদ্রান্তে ক্ষত, রক্তপাতসহ বা খাঁ এর পূর্ববর্তী ইতিহাস রয়েছে, তাদের জন্য ভলটালিন প্রদান করার সময় ডাইক্লোফেনাকসহ অন্যসব এসএসএআইডিএস এর মত নিবিড় চিকিৎসা নজরদারী অপরিহার্য। 

যেসব রোগীদের আলসার রয়েছে বিশেষত যাদের পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তে রক্তপাতসহ খাঁ বা ক্ষত হয়, তাদের গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল ক্ষতির ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বল্প মাত্রার ঔষধটি দিয়ে চিকিৎসা শুরু করে চালিয়ে যেতে হবে। 
এসব রোগীদের এবং যাদের স্বল্প মাত্রার এসিটাইলসালিসইলিক এসিড গ্রহণ করতে হয় বা অন্য ঔষুধ যা গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় তাদের রক্ষাকারী এজেন্টসহ (যেমন- প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর বা মিসোপ্রোস্টল) সমন্বিত থেরাপি বিবেচনা করতে হবে। 

যেসব রোগীদের গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনালের বিষক্রিয়ার ইতিহাস রয়েছে বিশেষত বয়স্কদের পোটের যেকোন অস্বাভাবিক লক্ষণ (বিশেষত গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনালের রক্তপাত) ডাক্তারকে জানানো উচিত। ভলটালিনের সাথে অন্য ঔষুধ; যেগুলো ক্ষত বা রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, 

যেমন-সিস্টেমিক কর্টিকোস্টেরয়েড, এন্টিকোয়াগুনেন্ট, এন্টি-প্লাটিলেট এজেন্ট বা সিলেকটিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনছিলিটরস সেবন করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আলসারেটিভ কোলাইটিস বা কর্ণ ডিজিস এ আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা আরও খারাপ হতে গারে বলে ভলটালিন প্রদান করার সময় নিবিড় চিকিৎসা নজরদারী অপরিহার্য।


হৃদরোগের ক্ষেত্রেঃ

ডাইক্লোফেনাকসহ অন্যান্য এনএসএআইডি বিশেষত অতি উচ্চ মাত্রায় ও দীর্ঘদিন সেবন করলে মারাত্মক কার্ডিয়োভাসকুলার প্রণোটিক ঘটনার (মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন ও স্ট্রোক) বুকি স্বল্প পরিমানে বেড়ে যেতে পারে। 
যাদের হৃদরোগ (কনজেসটিত হার্টফেইলর, ইসকেমিয়া হার্ট ডিজিস, পেরিফেরাল আর্টেরিয়াল ডিজিস) ও অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য ভলটালিন নির্দেশিত নয়। 

তবে যদি প্রয়োজন হয় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যাদের হৃদরোগ, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে তাদেরকে ভলটালিন দিয়ে চিকিৎসা করতে হয় এবং এর দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ১০০ মি.গ্রা. এর বেশি নয় যখন এটি দিয়ে চার সপ্তাহ পর্যাপ্ত চিকিৎসা করতে হয়। 

যেহেতু ডাইক্লোফেনাক ব্যবহারের মাত্রা ও সময়ের সাথে সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই এটি যথাসম্ভব স্বল্প সময় ও দৈনিক সর্বনিম্ন কার্যকরী মাত্রায় ব্যবহার করা উচিত। চার সপ্তাহের বেশী চিকিৎসা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে, রোগীর লক্ষনসমূহ হতে উপশম এবং থেরাপীর কার্যকারিতা পনের দিন পর পর পূণঃমূল্যায়ন করা উচিত। 

রোগীকে সবসময় মারাত্মক আরটারিওগ্রদটিক ইভেন্ট যেগুলো পূর্বসতর্কতা ছাড়াই ঘটতে পারে যেমন বুকে ব্যাথা, ঘনঘন নিঃশ্বাস নেয়া, দুর্বলতা, বাক জড়তা লক্ষনসমূহের ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে। এসব লক্ষনসমূহের যেকোন একটা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে দ্রুত চিকিৎসকের। শরনাপন্ন হতে হবে।


হেমাটোলজিক প্রভাব।

অন্যান্য এনএসএআইডিএস-এর সাথে voltalin দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে রক্ত। কনিকা গণনা পর্যবেক্ষন করতে হয়। অন্যান্য এনএসএআইডিএস এরমত চলটালিন। ক্ষনস্থায়ীভাবে রক্তজমাট বাধতে বাধা প্রদান করে। ভাটালিন দিয়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেসব রোগীর রক্ত জমাট বাধতে সমস্যা আছে তাদের সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষন করা উচিত।

ফুসফুসের উপর প্রভাব (হাঁপানী থাকলে):


হাঁপানী, সিজনাল এলার্জিক রাইনাটিস, নাকের মাংস বেড়ে যাওয়া নোকের পলিপাস), ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারী ডিজিস বা শ্বাসনালীর দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের (বিশেষত এলার্জিক রাইনাটিস এরমাত লক্ষন) রোগীদের অন্যান্য রোগীদের চেয়ে এনএসএআইডিএস - এর ক্রিয়ায় হাঁপানী (যাকে বলা হত ব্যাথানাশকের প্রতি সংবেদনশীলতা/ব্যাথানাশক হাঁপানী), কুইমকিস ইডেমা বা আরটিকেরিয়ার প্রবনতা বেড়ে যায়। 

তাই এসব রোগীর জন্য বিশেষ সতর্কতা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। যাদের অন্যান্য পদার্থের প্রতি এলার্জি রয়েছে যেমন চামড়ায় প্রতিক্রিয়া, চুলকানি, চুলি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রের এই বিশেষ সতর্কতা প্রযোজ্য।


যকৃত ও পিত্তথলিতে প্রভাবঃ

যেসব রোগীর যকৃতের কার্যক্ষমতায় অপর্যাপ্ততা রয়েছে তাদের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে বলে তাদের ক্ষেত্রে ভুলটালিন ব্যবহারের নির্দেশ দিলে নিবিড় পর্যবেক্ষন দরকার। 
ডাইক্লোফেনাকসহ অন্যান্য এনএসএআইডিএস যকৃতের এক বা একাধিক এনজাইনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। 
তাই জলটালিন দ্বারা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে (বেদন ট্যাবলেট বা সাপোজিটরিজ হিসেবে) সতর্কতামূলক। পদক্ষেপ হিসেবে নিয়মিত যকৃতের কার্যকারীতা পরীক্ষা নির্দেশিত। 

যদি যকৃতের পরীক্ষাগুলো খারাপ, লক্ষণ বা উপসর্গের সাথে যকৃতের রোগ সংগতিপূর্ণ হয় বা অন্য কোন লাক্ষন (ইউসিনোফিলিয়া বা ফুসকুড়ি) প্রকাশিত হয় তবে ভলটালিন সেবন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ডাইক্লোফেনাক সেবনে পূর্ববর্তী উপসর্গ ছাড়াই জন্ডিস হতে পারে। 
হেপাটিক পরফাইরিয়া রোগীদের ভল্টালিন ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত কেননা এটি রোগের আক্রমনকে তীব্র করতে পারে।

ত্বকের প্রতিক্রিয়া:

Voltalin সহ অন্যান্য এনএসএআইডিএস ব্যবহারের ফলে তীব্র ত্বকের প্রতিক্রিয়া এবং কিছু মারাত্মক যেমন-এক্সফলিয়েটিভ ডার্মাটাইটিস, স্টিভেনস জনসন সিন্ড্রোম ও টক্সিক

এশিভামাল নেকরোলাইসিস খুবই কম লক্ষ করা যায়। চিকিৎসার শুরুতেই এসব প্রতিক্রিয়ার সর্বোচ্চ বুকি রোগীদের মধ্যে প্রকাশিত হয়। 

চিকিৎসার শুরুর প্রথম মাসের মধ্যেই এসব প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। ত্বকে ফুসকুড়ি, ক্ষত বা অতিসংবেদনশীল ভান্ত অন্য কোন লক্ষণ দেখা দেওয়া সাথে সাথে ভলটালিন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। 
পূর্ববর্তী ব্যবহার ছাড়াই অন্যান্য এনএসএআইডিএস এর মত ডাইক্লোফেনাক ব্যবহারের ফলে বিরল ক্ষেত্রে এলাজী প্রতিক্রিয়া যেমন এনাফালেকটিক)/এনফাইলাকয়েড প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।


কিডনীর উপর প্রভাবঃ

যেহেতু Voltalin সহ অন্যান্য এনএসএআইডিএস থেরাপী ব্যাবহারে হাত ও পায়ে পানি জমা ও ফুলে যায়, তাই যেসব রোগীর হৃদপিন্ড বা কিডনীর কার্যকারীতায় সমস্যা। উচ্চরক্তচাপ, বয়স্ক, ভাই- ইউরেটিকস বা অন্য ঔষধ গ্রহণের ফলে কিডনীর কার্যকারীতায় প্রভাব ফেলে এবং কোন কারনে প্রচুর পরিমানে রক্তরস কমে যায় 

যেমন- শৈল্য চিকিৎসার আগে বা পরে; তাদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। এসব রোগীদের ভলটালিন সেবন করলে পূর্বসতর্কতা ব্যবস্থা হিসেবে কিডনীর কার্যকারীতা পরীক্ষা করার সুপারিশ করা হয়। থেরাপী বন্ধ করলে চিকিৎসার পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসে।

বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে:

বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে রোগের ধরন অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন গ্রহণ করতে হবে। বিশেষত কম ওজনের ও দুর্বল বয়স্ক রোগীদের জন্য সর্বনিম্ন ডোজ নির্দেশিত।

অন্যান্য এনএসএআইডি এর সাথে প্রতিক্রিয়া:

অনাকাঙ্খিত প্রভাব হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভলটালিন এর সাথে অন্যান্য সিস্টেমিক এনএসএআইডিএস যেমন সাইক্রোঅক্সিজেনেজ-২ ইনহিবিটর গ্রহণ এড়িয়ে চলা উচিত।

সংক্রমনের উপসর্গ সুপ্ত করার ক্ষেত্রে:

ফার্মাকোডায়নামিক বৈশিষ্ট্যের কারনে অন্যান্য এনএসএআইডিএস-এর মত ভলটালিন সংক্রমনের লক্ষণ ও উপসর্গ সুপ্ত করে রাখতে পারে।

Voltalin suppository এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:

voltalin সেবনের পর সাধারনতঃ স্নায়ুতন্ত্রের রোগ (মাথাব্যাথা ও মাখাদ্যেরা), মাথা ঝিমঝিমানী, পাকস্থলী ও অস্ত্রে সমস্যা যেমন- বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, বদহজম, পেটে ব্যাথা, পেট ফাপা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, শিরখণীর রোগ ট্রোপএমিনেল এনজাইমের বৃদ্ধি) ও ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।


অন্য ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়াঃ

Voltalin এন্টারিক কোটেড ট্যাবলেট ডোজেস ফর্মটি নিম্নে বর্ণিত ঔষধগুলির সাথে প্রতিক্রিয়া দেখায়। শক্তিশালী সি, ওয়াই,পিটু, সি, নাইন, লিথিয়াম, ডিগজিন, ভাই ইউরেটিকস ও এন্টিহাইপারটেনসিভ এজেন্টস, সাইক্রোস্পোরিন, হাইপারক্যালমিয়া ঘটানোর ড্রাগ, কুইনেলোন এন্টিব্যাকটেরিয়ালস। ভলটালিন নিম্নে বর্ণিত ঔষধগুলি 

যেমন- অন্যান্য এনএসএআইডিএস ও কর্টিকোস্টেরয়েড, এন্টিকোয়াগুলেন্ট ও এন্টি প্লাটিলেট এজেন্ট, সিলেকটিভ সেরোটনিন রিয়াপটেক ইনহিবিটরস, এন্টিবায়োবেটিক, ফিনাইটয়িন ও মেথোট্রেক্সেট সাথে প্রতিক্রিয়া দেখাবে বলে অনুমান করা হয়।

সন্তান জন্মদানে সম্ভাব্য নারীর ক্ষেত্রে, গর্ভাবস্থায়, স্তন্যদানকালে ও গর্ভধারনকালে ব্যবহারঃ সন্তান জন্মদানে সম্ভাব্য নারীর ব্যবহারঃ

সন্তান জন্মদানে সম্ভাব্য নারীর ক্ষেত্রে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি যে এটি দ্বারা কোন সুপারিশ করা যায়।


গর্ভাবস্থায় ব্যবহার :

গর্ভবর্তী মায়েদের ডাইক্লোফেনাক ব্যবহারের পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই গর্ভাবস্থার প্রথম ছয়মাসে Voltalin সেবন করা উচিত নয় যদি শিশুর ক্ষতির ঝুকির চেয়ে মায়ের উপকার বেশী হয়। ইউটারিয়ান নিষ্ক্রিয়তা বা আর্টিরিওসাস ডাক্টাসের অকাল বন্ধ হওয়ার সম্বাবনার কারনে গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাসে অন্যান্য এনএসএআইডিএস এর মত ডাইক্লোফেনাকও প্রতিনির্দেশিত।

স্তন্যদানকালে ব্যবহার:

অন্যান্য এনএসএআইডিএস-এর মত ডাইক্লোফেনাক এর সক্রিয় উপাদান স্বল্প পরিমানে মাতৃদুগ্ধে প্রবশে করে। তাই শিশুকে অনাকাঙ্খিত পরিনতি থেকে রক্ষা করার জন্য দুগ্ধদানকারী মাতার ভলটালিন সেবন করা উচিত নয়।

গর্ভধারনকালে ব্যবহার:

অন্যান্য এনএসএআইডিএস এর মত ভলটলিন মহিলাদের গর্ভধারনের সময় বাধা প্রদান করতে পারে এবং মহিলারা যখন গর্ভধারন করতে চায় তখন এটি তাদের জন্য নির্দেশিত নয়। যেসব মহিলার গর্ভধারনে জটিলতা রয়েছে এবং যারা বন্ধাতের পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে তাদের ভলটালিন ব্যবহার বন্ধ করা উচিত।


অতিমাত্রাঃ

লক্ষণসমূহঃ

ডাইক্লোফেনাকের অতিমাত্রার সাধারন কোন ক্লিনিক্যাল রূপ নেই। অতিমাত্রার কারনে বমি, পাকস্থলী ও অন্ত্রে রক্তপাত, ডায়রিয়া, কানে ভোভো শব্দ বা খিচুনি হতে পারে। ডাইক্লোফেনাকের উল্লেখযোগ্য বিষক্রিয়ায় তীব্র রেনাল ফেইলিউর এবং যকৃতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


চিকিৎসাগত ব্যবস্থা:

ডাইক্লোফেনাকসহ অন্যান্য এনএসএআইডিএস এর বিষক্রিয়ায় চিকিৎস্থাব্যবস্থাপনা সহায়কপন্থা ও লক্ষণসমূহের চিকিৎসার সমন্বয়ে গঠিত।


ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজি:

কর্মকৌশল: ভলটালিনের রয়েছে একটি নন-স্টেরয়ডাল যৌগ ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম, যার বাতরোধী, প্রদাহরোধী, বেদনানাশক ও জ্বররোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গবেষণায় এটি প্রকাশিত হয়েছে যে, প্রস্টাগ্লান্ডিন তৈরিতে বাধা দান এর মূল কর্ম কৌশল। 

প্রস্টাগ্লান্ডিনগুলো প্রদাহ, ব্যাথা ও জ্বর কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইন-ভিট্রো গবেষনায় দেখা যায় যে, মানুষে যে মাত্রায় প্রস্টাগ্লান্ডিন পৌছে, কার্টিলেজে ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম সে মাত্রায় প্রোটিওগ্লাইকেন তৈরিতে বাধা দান করেনা।


ফার্মাকোডায়নামিকস:

ভলটালিন এর প্রদাহবিরোধী ও বেদনানাশক বৈশিষ্ট্য দ্বারা বাত রোগের ক্লিনিক্যাল ভলটালিন এর প্রদাহবিরোধী ও বেদনানাশক বৈশিষ্ট্য দ্বারা বাত রোগের ক্লিনিক্যাল প্রতিক্রিয়া সমূহ যেমন বিশ্রামকালীন ব্যাথা, চলাচলের সময় ব্যাথা, সকালের কাঠিন্যতা এবং সন্ধিস্থল ফুলে যাওয়া ইত্যাদি কমিয়ে দেয়; এমনকি কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পরবর্তী অবস্থায় ভলটালিন দ্রুত ব্যাথা উপশম করে এবং প্রদাহজনিত ফোলা ও ক্ষত কমিয়ে দেয়। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায়, বাত ছাড়া অন্য কোন তীব্র ব্যাথা উপশমেও ভলটালিন এর সুস্পষ্ট বেদনানাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 

ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় আরও দেখা যায় যে, প্রাইমারী ডিজমেনোরিয়াতেও ভলটালিন ব্যাথা উপশমে ও রক্ত ঝরা কমাতে সক্ষম। মাইগ্রেনের ব্যাথা কমাতে ভলটালিন এর উপকারী ভূমিকা রয়েছে।

শোষন :
সাপোজিটরী হতে ডাইক্লোফেনাক দ্রুত শোষিত হতে শুরু করে, যদিও এই শোষনের হারমুখে গ্রহণ করার চেয়ে কম। ৫০ মি.গ্রা. সাপোজিটরি ব্যবহার করার গড়ে ১ ঘন্টা পর প্লাজমার সর্বোচ্চ মাত্রা অর্জিত হয়। কিন্তু গ্যাস্ট্রো রেজিট্রেন্স-সাপোজিটরী গ্রহনের পর প্লাজমাতে সর্বোচ্চ ঘনত্ব দুই তৃতীয়াংশ পৌছার পর প্লাজমার সর্বোচ্চ মাত্রা অর্জিত হয়। 

যেহেতু ডাইক্লোফেনাক প্রথমে যকৃত অতিক্রম করার সময় অর্ধেক পরিমান বিপাকিত হয়, তাই মুখে সেবন বা পায়ুপথে সমপরিমান ব্যবহারে প্যারেনটেরাইল ব্যবহারের চেয়ে এরিয়া আন্ডার কার্ড অর্ধেক হয়। সমপরিমানে (মি. গ্রা./কেজি শরীরের ভর) ডাইক্লোফেনাক গ্রহণ করলে প্লাজমার মাত্রা বয়স্ক ও শিশুদের একই হয়। একাধিক গ্রহণের পর ফার্মাকোকাইনেটিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়না। প্রস্তাবিত মাত্রায় এটি সঞ্চয় হতে দেখা যায়না।


সংরক্ষণ:

২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করা উচিত।
ভলটালিন শিশুদের নাগালের ও দৃষ্টির আড়ালে রাখুন।


ব্যবহার নির্দেশাবলী:

সাপোজিটরিজ কেটে পৃথক করা উচিত নয়, ত্রুটিপূর্ণ সংরক্ষনের কারণে সক্রিয় উপাদান অসমভাবে বণ্টন হতে পারে।
Next Post Previous Post